সরকারি সূত্র জানায়, প্রায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রাস্তার সংস্কার কাজ চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শুরু হলেও দুই মাসের মধ্যে মাত্র ১২শ মিটার কাজ সম্পন্ন হয়। বাকি রাস্তার সাব-বেইজ করার পর সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হয় মাসের পর মাস। এ সময় রাস্তায় পুনরায় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
ইতিমধ্যে সংস্কার করা ১২শ মিটার অংশেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় পুনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার আবেদন করার পর গত সপ্তাহ থেকে পুনরায় বাকি রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আরও প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের করা হচ্ছে। কার্পেটিং হচ্ছে অনূর্ধ্ব আধা ইঞ্চি পুরুত্বের। এতে করে কার্পেটিং করার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই উঠে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে নিম্নমানের কাজ করার বিষয়টি অবগত করার সত্ত্বেও তারা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে খিলা গ্রামের সোহাগ, নুরপুর গ্রামের জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, সংস্কারের দুই মাস অতিবাহিত না হতেই রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। রাস্তা সংস্কারের নামে মূলত হচ্ছে লুটপাট।
এছাড়া প্রকৌশলীকে কর্মস্থলে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আ. হাই মুন্সি জানান, রাস্তাটির ইতিপূর্বে আরেকবার সংস্কার করা হয়েছে। ওই সংস্কার কাজও অতি নিম্নমানের করায় দুই-আড়াই বছর অতিবাহিত হতে না হতেই রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
এদিকে রাস্তা পারাপারে দুঃখ-কষ্টের অবসান হচ্ছে না বিধায় এলাকাবাসীও হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপায়ন দাস বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। ব্যাপারটি আমি অবশ্যই দেখবো, অনিয়ম হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’